IQNA

ইরাকের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ প্রকাশ 

20:57 - July 31, 2022
সংবাদ: 3472212
তেহরান (ইকনা):  ইরাকের নতুন সরকার গঠনের ব্যাপারে মতপার্থক্য বেড়ে যাওয়ায় মে দেশে উত্তেজনা তীব্রতর হয়েছে। এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব ইরকের রাজনৈতিক পরিস্থিতকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং ইরাকি রাজনীতিবিদরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনের দাবি জানিয়েছেন।
ইরাকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নয় মাস পরও নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি! ফলে মুস্তাফা কাযেমির সরকার এখনও টিকে থাকায় লাভবান হচ্ছে কাযেমি ও তার  দেশী-বিদেশী সহযোগীরাই। 
 
ইরাকে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের নয় মাস পরও নতুন সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি! ফলে মুস্তাফা কাযেমির সরকার এখনও টিকে থাকায় লাভবান হচ্ছে কাযেমি ও তার  দেশী-বিদেশী সহযোগীরাই। 
 
মুস্তাফা কাযেমি ক্ষমতায় এসেছিলেন মুক্তাদা সাদরের সহায়তা নিয়ে এবং দেশের বাইরে সৌদি ও মার্কিন সরকারও তাকে সমর্থন দিয়ে এসেছে! আর তাই কাযেমিও মার্কিন ও সৌদি নীতির সঙ্গে তাল রেখে দেশ চালাচ্ছেন!  
 
মুস্তাফা কাযেমি ইরাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেশটিতে প্রদেশভিত্তিক নির্বাচনী আসনের পদ্ধতি বাদ দিয়ে জেলা-ভিত্তিক নির্বাচনী আসন চালু করা হয়। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর আসন সংখ্যা কমিয়ে আনা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এটা করা হয় যাতে তা সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ওই দলগুলোর জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করে। 
 
কিন্তু এরপরও মুক্তাদা সাদর, বারেজানি ও হালবুসির জোট কাযেমিকে প্রধানমন্ত্রী পদে পুননির্বাচনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাংসদের সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হয়। ফলে মুক্তাদা সাদর তার দলের সাংসদদের পদত্যাগ করতে বলেন এবং এর ফলে সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী তালিকায় থাকা আস সুদানিকে নতুন প্রধামন্ত্রীর পদে প্রার্থী করা হয়। 
 
কিন্তু পাশ্চাত্য ও ক্ষমতাসীন সরকার এর বিরোধিতায় নেমেছে। সুদানি যাতে প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন সে জন্য ইরাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয় মুক্তাদা সাদর-এর সমর্থকদের দিয়ে। তাদের ভয় সুদানি হয়তো কাযেমির মত পাশ্চাত্যপন্থী হবেন না, ফলে পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সরকার ও তার মিত্রদের নীতি অচলাবস্থার শিকার হতে পারে বা মারাত্মক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
 
 এ ছাড়াও মার্কিন বলয়ের পছন্দের ব্যক্তি ক্ষমতায় না থাকলে ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট জ্বালানী সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রেও ইরাককে ব্যবহার করা সম্ভব হবে না!  তাই মার্কিন বলয় কাযেমিকেই ইরাকের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে চায় তাতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পদদলিত হলেও কিছু যায় আসে না! পাশ্চাত্য একই কায়দায় ফিলিস্তিনেও মাহমুদ আব্বাসকে বিনা নির্বাচনে ক্ষমতায় রাখছে ইসরাইলের প্রতি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বিষয়ক সেবা পাওয়ার কারণে!
 
ইরাকে নতুন সরকার গঠনে বিলম্ব ঘটার জন্য দেশটির শিয়া রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্যই যে কেবল দায়ি তা নয় দেশটির কুর্দি দলগুলোর মধ্যেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা নিয়ে একই অবস্থা বিরাজ করছে। সংবিধান অনুযায়ী আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে এবং প্রেসিডেন্টই সংসদে প্রস্তাবিত প্রধানমন্ত্রীর নাম তুলে ধরবেন। কুর্দিদের মধ্যে মার্কিন প্রভাব অপেক্ষাকৃত বেশি মাত্রায় থাকা সত্ত্বেও ইরাকে নতুন সরকার গঠনকে নিজ স্বার্থের অনুকুল হিসেবে দেখতে পাচ্ছে না বলে গত কয়েক মাসেও কুর্দিদের বিরোধ মিমাংশার কোনো পদক্ষেপই নেয়নি! 4074796
captcha